1. গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত
গতকাল, ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় ৪০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এছাড়া, আহত হয়েছেন আরও ৫৬০ জনের বেশি মানুষ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই হামলাকে কেবল শুরু বলে উল্লেখ করেছেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি জানান, ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের ওপর ক্রমবর্ধমান শক্তি ব্যবহার করবে এবং ভবিষ্যতে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুধুমাত্র আক্রমণের মুখে অনুষ্ঠিত হবে।
গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা, যেমন দক্ষিণের খান ইউনিস, রাফাহ, উত্তরের গাজা সিটি এবং দেইর এল-বালাহ, এই হামলার শিকার হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা উপত্যকার 'ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী' ইসাম দা'আলিসসহ হামাসের আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। ইসাম দা'আলিস গাজা উপত্যকায় হামাস শাসনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা এবং সংগঠনটির সব শাখার মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
এই হামলার ফলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যত ভেস্তে গেছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর এই বর্বর হামলা আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
2. সুনীতা উইলিয়ামসের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরেছেন। ফ্লোরিডা উপকূলে স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে অবতরণ করেন তিনি।
সুনীতার পৈতৃক গ্রাম গুজরাটের মেহসানা জেলার ঝুলাসনে তার প্রত্যাবর্তনে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। গ্রামবাসীরা আতশবাজি ফাটিয়ে, নাচ-গান করে এই মুহূর্ত উদ্যাপন করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, সুনীতা শীঘ্রই ভারতে আসবেন এবং তার জন্য 'শিঙাড়া পার্টি'র আয়োজন করা হবে।
পৃথিবীতে ফেরার পর, সুনীতা ও তার সঙ্গীদের নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে চিকিৎসকদের অনুমোদনের পরই তারা পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন। দীর্ঘ মহাকাশ যাত্রার পর, তাদের শরীরে কিছু শারীরিক পরিবর্তন হতে পারে, যা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সুনীতা চলতি বছরেই ভারতে আসতে পারেন।
সুনীতা উইলিয়ামসের এই সফল প্রত্যাবর্তন মহাকাশ গবেষণায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ভারতের মহাকাশপ্রেমীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের একটি অংশ পাকিস্তানের দখলে থাকা সত্ত্বেও তাকে 'বিতর্কিত এলাকা' হিসেবে উল্লেখ করার বিষয়ে। তিনি এই পরিস্থিতিকে 'অবৈধ দখল' হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরপেক্ষতা ও শক্তিশালী ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
জয়শঙ্কর আরও উল্লেখ করেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অন্য কোনো দেশের ভূখণ্ডে এত দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধ দখলের উদাহরণ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই পরিস্থিতিতে অপরাধী কারা—ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, নাকি আমেরিকা? এই প্রশ্নের মাধ্যমে তিনি পশ্চিমা দেশগুলির ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এছাড়া, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পূর্বে মন্তব্য করেছিলেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু রাষ্ট্রপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া ছিল একটি 'ঐতিহাসিক ভুল'। তিনি দাবি করেন, এই পদক্ষেপের ফলে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের সৃষ্টি হয়েছে, যা ভারতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই সমস্ত মন্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট যে,ভারত সরকার রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছে।
4.মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানো নিয়ে উত্তেজনা
মহারাষ্ট্রের নাগপুরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এই সময়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।
সহিংসতার ফলে নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। এ পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এই সহিংসতাকে পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের উপর হামলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিরোধী দলগুলি সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে।
এই পরিস্থিতিতে নাগপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে, এবং প্রশাসন শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
নাগপুরের সাম্প্রতিক সহিংসতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন:
উত্তরপ্রদেশের মেরঠে এক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে এসেছে। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করেছেন স্ত্রী। খুনের পর দেহ ১৫ টুকরো করে একটি ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।মৃতের নাম সৌরভ রাজপুত, পেশায় মার্চেন্ট নেভি অফিসার। ২০১৬ সালে প্রেম করে মুস্কান রস্তোগীকে বিয়ে করেন তিনি। দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার আশায় স্ত্রীকে সময় দেওয়ার জন্য নেভি থেকে চাকরি ছেড়ে দেন সৌরভ। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে পরিবার অসন্তুষ্ট ছিল এবং পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। পরে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি।২০১৯ সালে তাদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। তবে কিছুদিন পর সৌরভ জানতে পারেন, তার স্ত্রী বন্ধু সাহিলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন। প্রথমে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তা করেননি।২০২৩ সালে সৌরভ পুনরায় মার্চেন্ট নেভিতে যোগ দেন এবং কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে, মুস্কান ও সাহিলের সম্পর্ক আরও গভীর হয় এবং তারা একটি ভয়ংকর পরিকল্পনা করে।২০২৪ সালের ৪ মার্চ—সৌরভ তার কন্যার জন্মদিন উদযাপন করতে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন। এই সময়েই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা নেয় মুস্কান ও সাহিল।খুনের দিন রাতে সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন মুস্কান।অচেতন অবস্থায় সাহিল ছুরি দিয়ে সৌরভকে হত্যা করেন।দেহের ১৫টি টুকরো করা হয় এবং একটি ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়।
সৌরভকে কেউ খুঁজতে না পারে, সে জন্য প্রতিবেশীদের বিভ্রান্ত করেন মুস্কান—বলেন, সৌরভ পাহাড়ে ছুটি কাটাতে গেছেন। মুস্কান ও সাহিল মানালি গিয়ে সৌরভের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি পোস্ট করেন, যেন মনে হয় তিনি জীবিত আছেন। কয়েকদিন ছেলের কোনো খবর না পেয়ে পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে পুলিশ মুস্কানের কথা বারবার বদলানোয় সন্দেহ করে। পরে সাহিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকার করেন কীভাবে সৌরভকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ড্রামের ভেতর থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে। স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
7. কেন জলে অবতরণ করল সুনীতাদের মহাকাশযান?
নাসার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সঙ্গীদের নিয়ে স্পেসএক্স-এর ড্রাগন মহাকাশযান নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। তবে অবতরণের জন্য সমতল ভূমির বদলে সমুদ্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যা অনেকের মনে প্রশ্ন তুলেছে—কেন এমন সিদ্ধান্ত?
স্পেসএক্স ও নাসার মতে, মহাকাশযান সমুদ্রে স্প্ল্যাশডাউন করলে ক্রুদের নিরাপত্তা বেশি নিশ্চিত হয়। পানিতে অবতরণ করলে ধাক্কার প্রভাব কম হয়, যা মহাকাশচারীদের শারীরিক অবস্থার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাছাড়া, ভূমিতে অবতরণ করলে শক্তিশালী প্যারাশুটের পরও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে, যেখানে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি স্বাভাবিকভাবেই গতি শোষণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়া, ড্রাগন ক্যাপসুল পুনঃব্যবহারযোগ্য হওয়ায়, পানিতে নামার ফলে এর তাপ প্রতিরোধক ঢাল কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ভবিষ্যতে একই মহাকাশযানকে পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব করে।স্পেসএক্সের ড্রাগন মহাকাশযান আগে থেকেই সমুদ্রে অবতরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটি ইতিমধ্যেই সফলভাবে বহুবার এমন ল্যান্ডিং সম্পন্ন করেছে। তাই এবারও নাসার অনুমোদন অনুযায়ী ফ্লোরিডার উপকূলে ক্যাপসুলটি নিরাপদে অবতরণ করানো হয়েছে।
এই মিশনের সফল সমাপ্তি বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যোগ করেছে। বিশেষ করে ভারতীয় মহাকাশপ্রেমীদের জন্য এটি এক গর্বের মুহূর্ত, কারণ এই অভিযানে অন্যতম মুখ ছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস।
8.‘এখন যুদ্ধের সময় নয়’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে 'ভাই' সম্বোধন করে বলেন, "এখন যুদ্ধের সময় নয়।" মোদী আরও উল্লেখ করেন যে, যুদ্ধক্ষেত্রে কখনও কোনও স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তিনি বলেন, "যুদ্ধক্ষেত্রে জয়লাভ কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। আলোচনায় উভয় পক্ষকেই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।"
প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে 'পরবর্তী পদক্ষেপ' নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, পুতিনের নীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে, মস্কোকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।মোদীর এই বার্তা পূর্বেও প্রতিফলিত হয়েছে, যখন তিনি পুতিনকে সরাসরি বলেছিলেন যে, "এটি যুদ্ধের সময় নয়," এবং জ়েলেনস্কিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধক্ষেত্রে জয়লাভ কোনও স্থায়ী সমাধান নয়।
মোদীর এই শান্তির আহ্বান আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে ভারতের গঠনমূলক ভূমিকার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
9.হাসিনা-সরকারের সমালোচনা করায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, ২০ ছাত্রের ফাঁসির সাজা বহাল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ২০ জন ছাত্রের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে বাংলাদেশের হাই কোর্ট। এছাড়া, পাঁচ জনকে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।
২০১৯ সালে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। তদন্তে জানা যায়, তিনি সামাজিক মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করেছিলেন, যা হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট হিসেবে বিবেচিত হয়। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তরা সকলেই আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আদালতের এই রায় বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে, নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন:
10.রতন টাটার সেরা উক্তি:
a) "আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিচিত নই, আমি সিদ্ধান্ত নিই এবং তারপর তা সঠিক করি।"
b) "একটি ব্যক্তি তার গাড়ির আকার দিয়ে নয়, বরং তার আন্তরিকতা ও সততার দ্বারা মূল্যায়িত হওয়া উচিত।"
c) "আমি ব্যর্থতাকে উদযাপন করি কারণ এটি সফলতার পথে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।"
d) "ব্যবসা শুধু লাভের জন্য নয়, এটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে হবে।"
e)"আমরা সবাই সুযোগের জন্য অপেক্ষা করি, কিন্তু সত্যিকারের বিজয়ীরা সুযোগ তৈরি করে।